কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন মমতা, 'পাত্তা' দিচ্ছেন না দিলীপ

শিলিগুড়িতে একটি জনসভার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের অবস্থা ভয়ঙ্কর। একটা সময় ছিল যখন আধাসামরিক বাহিনী ছাড়া ভোট করতে চাইতেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। আর ওই আধা সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তাতেই ভোট হওয়ার পর তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই তৃণমূল সুপ্রিমো এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে নানান রকম বিতর্কিত মন্তব্য করছেন।

Advertisement
কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন মমতা, 'পাত্তা' দিচ্ছেন না দিলীপতৃণমূল সুপ্রিমোর এই সব অভিযোগকে 'পাত্তা দিতে' নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
হাইলাইটস
  • কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সব অভিযোগকে 'পাত্তা দিতে' নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ
  • আধাসামরিক বাহিনী ছাড়া ভোট করতে চাইতেন না তৃণমূল সুপ্রিমো

প্রথম দফার নির্বাচন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম থেকে তৃতীয় দফার ভোট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে বারংবার সুর চড়িয়েছেন তিনি। যদিও তৃণমূল সুপ্রিমোর এই সব অভিযোগকে 'পাত্তা দিতে' নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

শিলিগুড়িতে একটি জনসভার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের অবস্থা ভয়ঙ্কর। একটা সময় ছিল যখন আধাসামরিক বাহিনী ছাড়া ভোট করতে চাইতেন না তৃণমূল সুপ্রিমো। আর ওই আধা সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তাতেই ভোট হওয়ার পর তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই তৃণমূল সুপ্রিমো এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে নানান রকম বিতর্কিত মন্তব্য করছেন।

দিলীপ ঘোষ এও বলেন, "বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ভরসা রাখে। তাঁদের বিশ্বাস করে। আধা সামরিক বাহিনীকে বাংলার মহিলারা ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। নিরাপত্তার ভরসা পায় বলেই সেই কাজ করেন তাঁরা। ফলে তৃণমূল সুপ্রিমো আধা সামরিক বাহিনীকে নিয়ে কী বলছেন তাতে কিছু যায় আসে না। আমি পাত্তা দেই না।" 

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা টুইটও করেছিলেন তৃতীয় দফার ভোটে। তিনি লেখেন,  “কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্মম কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। বারবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। তৃণমূলের ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেককে বিরোধী দল প্রভাবিতও করছে। সেখানে সিআরপিএফ নীরব দর্শক।”

এদিকে বিজেপির বিভিন্ন নেতা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'দিদি দিদি' সম্বোধন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "দিদি অনেক সম্মানের ডাক। প্রত্যেকেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বলে ডাকেন। প্রধানমন্ত্রী ওঁকে দিদি বলে ডেকেছেন, এতে অন্যায়ের কিছু তো নেই।" 

অন্যদিকে নির্বাচনী বাংলায় একের পর এক হিংসার খবর প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়ে চিন্তিত খোদ নির্বাচন কমিশনও।  সে প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,  "এবার বাংলায় পরিবর্তন আসবে। আগামী নির্বাচন থেকে আর বাংলায় হিংসার ঘটনা ঘটবে না। মানুষ শান্তিতে নির্বিঘ্নে এবার ভোট দিয়ে বাংলা থেকে অশান্তি কে বিদায় দেবে।"

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement